হাজী আব্দুল বাতেন সওদাগর ১৯০৮ সালে রহমতপুর ইউনিয়নে জন্ম গ্রহণ করেন । ব্রিটিশ শাসন আমলে একজন সমাজসেবী হিসাবে ১৯৪৫ সালে রৌপ্য পদক লাভ করেন । অত্যন্ত পরিশ্রমী এবং বুদ্ধিসম্পন্ন ব্যাক্তিটি নিজের ভাগ্যের পরিবর্তনের সাথে সাথে সন্দ্বীপের শিক্ষা এবং অর্থনীতিতে গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন । তাঁর অনুদানে সন্দ্বীপ রাহমতপুরে সন্দ্বীপ কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় । পরবর্তীতে আর নাম করন করা হয় হাজি আব্দুল বাতেন সওদাগর কলেজ । ১৯৮৫ সালে তৎকালীন সরকার প্রধান এই কলেজটিকে জাতীয়করন করে । তিঁনি ১৯৬৭ সালে মুছাপুর ইউনিয়নে মুছাপুর হাজি আব্দুল বাতেন উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করেন । তিনি ৩০ বছর যাবৎ রহমতপুর পরিষদের প্রেসিডেন্ট ছিলেন । সন্দ্বীপের এই কৃতি সন্তান ১৯৭১ সালে মৃত্যুবরণ করেন |
মৌলভী আজিজুর রহমান সন্দ্বীপের ব্যাবসায়িক সমাজে অতি পরিচিত ছিলেন । অত্যন্ত দয়ালু ও দানবীর হিসাবে খ্যাতি ছিল তার । সন্দ্বীপের সৌখিনতা এবং আধুনিকতার ছোঁয়া উনার হাতধরেই এসেছিলো । সন্দ্বীপের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে উনার ভূমিকা যথেষ্ট ছিল । অত্যন্ত পরিচিত ধনাড্য ব্যাবসায়ী , সন্দ্বীপ টাউনের তথা চট্টগামের বিশিষ্ট ব্যাবসায়ীদের কাছে জ্বনাব মৌলভী আজিজুর একটি সন্দ্বীপের প্রখ্যাত ব্যাবসায়ী হিসাবে পরিচিত ছিলেন । বার্মার আকিয়াব শহরে উনার আমদানি কেন্দ্র ছিল এবং সেই শহরে উনাকে সবাই সন্দ্বীপের সওদাগর হিসাবে চিনতো । উনি সন্দ্বীপ , বার্মা , কলকাতা এবং বাংলাদেশের ভিবিন্ন জায়গায় বেবসা পরিচালনা করতেন সন্দ্বীপের এই খ্যতিমান বণিকের অবসান ঘটে একটি নৌদুর্ঘটনার মাধ্যমে । ৩রা মার্চ জুন ১৯৭৫ সালে এক মর্মান্তিক ট্রলার ডুবিতে সেই বিখ্যাত বণিকের সলিল সমাধি ঘটে ।